এক নজরে বীর মুজাহিদ আবু জাফর মুহাম্মদ ছালেহ রঃ

একনজরে খানকাহ'র পীর রাজপথের বীর আরব আ'জমে প্রসিদ্ধ মনীষী ছারছীনা শরীফের আবু জাফর মুহাম্মদ সালেহ রঃ

এক নজরে বীর মুজাহিদ আবু জাফর মুহাম্মদ ছালেহ রঃ


{getToc} $title={Table of Contents}

জন্ম ও পরিচয়:

নাম:আবু জাফর মুহাম্মদ সালেহ।
উপাধি: শাহ সাহেব।
জন্ম:১৯১৫ ঈসায়ী মোতাবেক বাংলা ১৩২২ সন।
পিতা: শাহ সূফি নেছারুদ্দীন আহমদ রঃ।

শিক্ষাগ্রহন: ছারছীনা আলিয়া মাদ্রাসায় জামাতে উলা পর্যন্ত পড়েন। অতপর ভারতের সাহারনপুরের মাজাহেরুল উলুমে একাডেমিক পড়া শেষ করেন।

এক নজরে বীর মুজাহিদ আবু জাফর মুহাম্মদ ছালেহ রঃ


প্রসিদ্ধ ওস্তাদ:

☞ শাইখুল হাদিস হাফেজ যাকারিয়া কান্ধলভী রঃ।
☞ শাইখুল ইসলাম হুসাইন আহমেদ মাদানী রঃ।
☞ শাহ আব্দুর রহমান কামেলপুরী রঃ।
☞ আল্লামা আসাদুল্লাহ রঃ।
☞মাওলানা সিদ্দিক রঃ।
☞মাওলানা মঞ্জুর রঃ।

তরিকত চর্চা:

☞ প্রথমে ফুরফুরার আবু বকর সিদ্দিকী আল কুরাইশী রঃ এর কাছে।
☞ পীরের নির্দেশে পরবর্তীতে স্বীয় পিতা থেকে নিয়মিত সবক আদায় করতেন।

বিবাহ:

☞ বরিশাল বি এম কলেজ প্রতিষ্ঠাসদস্যদের একমাত্র মুসলিম সদস্য জনাব হেমায়েতউদ্দীন চৌধুরীর ভাতিজি মুহতারামা মনোয়ারা বেগম কে বিবাহ করেন।

সন্তানাদি:

☞ছেলে ২জন। যথাক্রমে শাহ মুহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ এবং  শাহ মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ মাঃজিঃআঃ (বর্তমান পীর সাহেব)।
☞ মেয়ে ৫জন।
✪প্রথম জামাতা মির্জা এনায়েতুর রহমান বেগ রঃ
✪ দ্বিতীয় জামাতা অধ্যাপক আলী হায়দার মুর্শীদী।
✪ তৃতীয় জামাতা হযরত মাওলানা নুরুল ইসলাম।
✪ ৪র্থ জামাতা ডঃ এবিএম সিদ্দীকুর রহমান
✪ ৫ম জামাতা মাওলানা নজরুল ইসলাম সাহেব।

খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহন:

১৯৫২ সাল।
পিতার মন্তব্য:
☞বেলায়েতের দরজায় না পৌঁছা পর্যন্ত আমি শাহ সাহেবকে বিবাহ করাইনি।

ওস্তাদের মন্তব্য:

আবু জাফর মুহাম্মদ সালেহ রঃ মদীনায় অবস্থানরত তাঁর ওস্তাদ জাকারিয়া কান্ধলভী রঃ কে বলেন, মাই আপ কা শাগরেদ হো। প্রতিত্তোরে কান্ধলভী র বললেন, কভী শাগরেদ ওস্তাদছে বড়া যাতা হায়।

বহির্বিশ্বে তাবলীগে দ্বীন:

☞ইরাক সফর। ( ইরাক-ইরান যুদ্ধে)
☞পাকিস্তান সফর।
☞বাংলাদেশের মতোই ভারতে দ্বীনি সফর।
☞ হেজাজ সফর।
☞তায়েফ সফর।
☞ বায়তুল মুকাদ্দাস সফর।
☞বাগদাদ সফর।

দ্বীনি কাজ আঞ্জামে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন:

☞মসজিদ।
☞মাদ্রাসা
☞খানকা
☞মক্তব।
☞অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়তে হিযবুল্লাহ প্রতিষ্ঠা।
☞জমিয়াতুল মুদার্রেছীন নামক ঐতিহাসিক সংগঠন।
☞ ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আপ্রাণ চেষ্টা। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পরবর্তী প্রেসিডেন্ট এরশাদ সাহেবের সাথে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ওয়াদা বরখেলাফ করা পর্যন্ত প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন।

এক নজরে বীর মুজাহিদ আবু জাফর মুহাম্মদ ছালেহ রঃ
দ্বীন প্রচারের বোট

স্বর্ণপদক লাভ:

শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ১৯৮০ সালে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হন।

পত্রিকা প্রকাশ:

☞পিতার ইন্তেকালের পর ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম পত্রিকা "পাক্ষিক তাবলীগ" পত্রিকার হাল ধরেন।
☞সাপ্তাহিক এশায়াত।

ইউছুফ নবীর সুন্নাত পালন:

১৯৭১ সনের ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে দীর্ঘ ২৩ মাস জেলখানায় আবদ্ধ হন। পরবর্তীতে সাধারণ ক্ষমার পূর্বের দিন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশেষ নির্দেশে কারামুক্তি লাভ করেন।

রাজনৈতিক অবস্থান:

গদিভিত্তিক দলীয় রাজনীতির বিরুদ্ধী ছিলেন।

দলীয় রাজনীতির বাহিরে থেকে তার অবদান:

☞মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ পার্কে মুসলমানদের স্বতন্ত্র আবাস ভূমির আন্দোলনে সর্ব ভারতীয় ওলামা সম্মেলনে যুবক বয়সে মাঠ পর্যায়ে নৈপুণ্যের পরিচয় দিয়েছিলেন।
☞সব বাহিনীর হাফ প্যান্টের পরিবর্তে ফুল প্যান্টের ব্যবস্থা সরাসরি তার নির্দেশেই জেনারেল আইউব খান ঘোষণা দিয়েছিলেন।
☞ ছারছীনা মাহফিলে প্রেসিডেন্ট এরশাদ সাহেব কে দিয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা করানো।
☞সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার করানো
☞ প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান কে দিয়ে এসএসসি পর্যন্ত ইসলামিয়াত শিক্ষা বাধ্যতামূলক করন।
☞মাদ্রাসার দাখিল,আলিম,ফাযিল শ্রেণিকে যথাক্রমে এসএসসি,এইচএসসি,স্নাতক সমমানের নীতি প্রবর্তন।
☞১৯৭৯ সালে পল্টন ময়দানে ঐতিহাসিক ১০ দফা পেশ। এবং প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কর্তৃক তা গ্রহন।
☞১৯৯০ সালে ছারছীনা শরীফে ঐতিহাসিক ১১ দাবী পেশ এবং প্রসিডেন্ট এরশাদ কর্তৃক তা গ্রহন।

এক নজরে বীর মুজাহিদ আবু জাফর মুহাম্মদ ছালেহ রঃ

আত্মামানবতার নিজেকে উজাড় করা:

এ টপিকগুলো সংক্ষিপ্ত করার সুযোগ নেই। তাই এড়িয়ে গেলাম।

প্রেসিডেন্টদের সতর্কীকরণঃ

☞ একটি রাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট ৭টা পর্যন্ত ঘুমালে রাস্ট্র চলবে কিভাবে? -শহীদ জিয়াউর রহমান কে বলেছিলেন।
☞আপনি যেমন এক দেশের প্রেসিডেন্ট, আমিওতো অন্য আরেক জগতের প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট এরশাদ কে বলেছিলেন।
☞ আপ কা সরফ পাকিস্তান কা গভর্নর হায় মাই তো সারা আলম কো গভর্নর হায় - পূর্ব বাংলার গভর্নরের দায়িত্ব চাপিয়ে দিতে চাইলে ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান কে বলেছিলেন।

আরও পড়ুন: ইসলামে গায়েবানা জানাযার বিধান

বাণীসমূহ:

☞ চির সূখী হতে চাও দুনিয়ায় বসে কেঁদে যাও।
☞ পীর ঝাড়ফুঁক তাবিজ-কবচের জন্য নয় বরং আত্মশুদ্ধির জন্য।
☞বিড়ালের মতো হাজার বছর বাঁচার চেয়ে সিংহের মতো একদিন বাঁচো।
☞বাঘ খাঁচায় ঢুকলেও বাঘই থাকে বিড়াল হয়না।

ইন্তেকাল: ১৩ই ফেব্রুয়ারী ১৯৯০ ঈসায়ী মোতাবেক বাংলা ১লা ফাল্গুন ইহধাম ত্যাগ করেন।

এক নজরে বীর মুজাহিদ আবু জাফর মুহাম্মদ ছালেহ রঃ

শোক প্রকাশ:

☞রাষ্ট্রীয় শোক প্রকাশ
☞ বাংলাদেশের সর্বস্তরের রাজনৈতিক,সামাজিক,ধর্মীয় সংগঠন ও ব্যাক্তির আলাদা আলাদা শোক বার্তার সাথে ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন,মক্কা মদিনা,বাগদাদ,আজমীর,ফুরফুরা,আরব আমিরাত,কাতার,কুয়েত,মিসর,পাকিস্তান,ভারত,আমেরিকা-যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য,কানাডার বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক এবং ধর্মীয় সংগঠন আলাদা আলাদা শোক বার্তা প্রকাশ করেছিলো। তৎকালীন পত্রিকাগুলোতে এগুলো প্রচার হয়েছিল।

Learn With Iqbal

I'm Muhammad Iqbal Hossain, a language teacher. Languages ignite my passion – their ability to connect us and unlock new worlds. youtube facebook instagram telegram whatsapp

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন