এক নজরে আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী রহ.
ইন্তেকালের আগের দিন রাতে হাসপাতাল গেইটে। |
{getToc} $title={Table of Contents}
জন্ম ও পরিচয়:
নামঃ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী
জন্মঃ ২রা ফেব্রুয়ারি ১৯৪০ ঈসায়ী।
পিতা:ইউসুফ শিকদার
গ্রাম: ইন্দুরকানি।
স্ত্রী: সালেহা
সন্তান:০৪জন। যথাক্রমে - রফিক,শামীম,মাসউদ,নাসীম।
থানা: পিরোজপুর সদর।
জেলা: পিরোজপুর।
প্রাথমিক শিক্ষা:
তিনি তার বাবার প্রতিষ্ঠিত স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় তার প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করেন।মাধ্যমিক এবং গ্রাজুয়েশন:
তিনি ১৯৬২ সালে ছারছিনা আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন ও পরবর্তিতে খুলনা আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন।কর্মজীবন:
★ দাওয়াত★ তাবলিগ।
★ পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য।
(১২ জুন ১৯৯৬ – ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮)
রাজনৈতিক জীবন:
১৯৮০’র দশকের প্রথমদিকে সাঈদী সাড়াদেশব্যাপী ইসলামী ওয়াজ-মাহফিল ও তাফসির করা শুরু করেন এবং তার সুন্দর বক্তব্য দানের ক্ষমতার জন্য দেশব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করেন; এ সময়ই তিনি রাজনীতিতে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম নেতা নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নির্বাচনী জোট গঠন করে এবং তিনি এই নির্বাচনে পুনরায় জাতীয় সংসদ-এর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।কারাগারে মোনাজাত রত অবস্থায়। |
কারাবরণ:
২০১১ সালে সাঈদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার বিরূদ্ধে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, লুটতরাজ ও সংখ্যালঘু হিন্দুদের জোরপূর্বক ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের ২০ দফা অভিযোগ আনা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৩ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০টি অভিযোগের মধ্যে প্রদত্ত বিচারের রায়ে আটটি অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং দু'টি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক এই রায়ের নিন্দা করে এবং অভিযোগগুলিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভুল পরিচয়ের মামলা বলে আখ্যায়িত করে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তার বিচারের রায়ের সমালোচনা করেছিল। তার ফাঁসির রায় ঘোষণা হওয়ার পর জামায়াতে ইসলামী ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রতিবাদ ও সহিংসতা শুরু করেছিল। এই রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করা হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিলের রায় পর্যবেক্ষণ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া ফাঁসির সাজা কমিয়ে সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদন্ড প্রদান করে।কপিনে আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী রঃ |
ইন্তেকাল:
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৮৩ বছর বয়সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে ১৩ আগস্ট রবিবার তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে তাকে কারাগার থেকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়।জানাজায় আসা মানুষের ঢল। |
গ্রন্থাবলি:
★ আখিরাতের জীবনচিত্র।★ দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়ার মূলনীতি।
★ ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবী ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা।
★আমি কেন জামায়াতে ইসলামী করি।
★ সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনে ইসলাম।
★ শিশুর প্রশিক্ষণ পদ্ধতি।
★ রাসূলুল্লাহর (সাঃ) মোনাজাত।
★ কাদিয়ানীরা কেন মুসলমান নয়।
★ পবিত্র কোরআনের মু'জিজা।
★ নীল দরিয়ার দেশে।
★ নিজ পরিবারবর্গের প্রতি আমার অসিয়্যত।
★মহিলা সমাবেশে প্রশ্নের জবাবে - ১ম খন্ড।
★ মহিলা সমাবেশে প্রশ্নের জবাবে - ২য় খন্ড।
★ মানবতার মুক্তি সনদ মহাগ্রন্থ আল-কোরআন।
★খোলা চিঠি।
★ জান্নাত লাভের সহজ আমল।
★ ঈমানের অগ্নিপরীক্ষা।
★হাদীসের আলোকে সমাজ জীবন।
★ দ্বীনে হক-এর প্রতি দাওয়াত না দেয়ার পরিণতি।
★ দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ধৈর্যের অপরিহার্যতা।
★ দেখে এলাম অবিশ্বাসীদের করুণ পরিণতি।
★ চরিত্র গঠনে নামাযের অবদান।
★তাফসীরে সাঈদী।
★ বিষয়ভিত্তিক তাফসীরুল কোরআন - ১ম,২য় খন্ড।
★ বিষয়ভিত্তিক তাফসীরুল কোরআন।
★আল্লাহ মৃতদেহ নিয়ে কি করবেন?
★ আল্লাহ কোথায় আছেন?
★ আল কোরআনের মানদন্ডে সফলতা ও ব্যর্থতা।
★ আল-কোরআনের দৃষ্টিতে মহাকাশ ও বিজ্ঞান।
★ আল-কোরআনের দৃষ্টিতে ইবাদাতের সঠিক অর্থ।
★ সীরাতে সাইয়্যেদুল মুরসালীন।
★ শিশু-কিশোরদের প্রশ্নের জবাবে।
★ নন্দিত জাতি নিন্দিত গন্তব্যে।