অন্যতম কয়েকটি তাসবীহ হলো-
‘সুবহানাল্লাহ,আলহামদুলিল্লাহ,মাশাল্লাহ’। ধারাবাহিকভাকে এর অর্থ হলো ‘মহান আল্লাহ পূূতপবিত্র,সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তায়া’লার জন্য,আল্লাহ'র ইচ্ছায়'। আল্লাহ তায়ালার গুণাবলী, তাঁর সৃষ্টির কোনো ভালো ও আশ্চর্যজনক বিষয় শুনে-দেখে অথবা কোন নিয়ামত পেয়ে এই শব্দগুলোর ব্যবহার করতে হয়।
যেমন বাগানের সুন্দর একটি ফুল দেখে আপনি চমৎকার বলার পরিবর্তে 'মাশা আল্লাহ' বললেন। আবার আশ্চর্যজনক বিষয় শুনে-দেখে বললেন ' সুবহানাল্লাহ'। কোন বিপদাপদ বা নিয়ামত পেয়ে বললেন আলহামদুলিল্লাহ।
এ তাসবীহগুলো বলার অনেক ফজিলতও বর্ণিত হয়েছে। হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, ‘দুটি বাক্য এমন রয়েছে, যা বলা সহজ, আমলের পাল্লায় অনেক ভারী। আর আল্লাহ তায়া’লার কাছেও অধিক পছন্দনীয়। সেটি হলো, সুবহানাল্লাহি ওয়া বি-হামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।’ (বুখারি শরীফ, হাদিস : ৬৪০৬)
سُبحَان اللهِ وبحمدِه سبحانَ اللهِ العظيم
উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়া বি-হামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম।
হযরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন— ‘যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বি-হামদিহি’ পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়।’
হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত আরেক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যদি কেউ সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার করে ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বি-হামদিহী’ বলে, তাহলে কেউ তার থেকে বেশি আমল নিয়ে কিয়ামতের দিন উপস্থিত হতে পারবে না।’
অন্য বর্ণনায় আছে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘ওই ব্যক্তির গুনাহ যদি সমুদ্রের ফেনার থেকেও বেশি হয়, তাহলে-ও আল্লাহ তায়া’লা তাকে ক্ষমা করে দেবেন।’
- সহীহ মুসলিম ৪/২০৭১, ২৬৯২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩/১৪১, সুনানুত তিরমিজি ৫/৫১১,
হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত আরেক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যদি কেউ সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার করে ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী’ বলে, তাহলে কেউ তার থেকে বেশি আমল নিয়ে কিয়ামতের দিন উপস্থিত হতে পারবে না।’
কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো আমরা এসব তাসবীহ গুলো অপাত্রে ব্যবহার করা শুরু করেছি।
★ "ইন্না-লিল্লাহ" এবং "আলহামদুলিল্লাহ" বলার স্থান,কাল রয়েছে। কারো অবসর এবং পুনরায় বহাল হওয়াতে এগুলোর সাথে নূন্যতম সম্পর্ক নেই।
★ সাধারণ অবুঝ ভাইদের সাথে মাদ্রাসা পড়ুয়াদের এই মাতলামি দেখে সত্যিই যথারীতি অবাক হচ্ছি!এই ইসলামি ইস্তিলাহ গুলো তারা কিভাবে অপাত্রে ব্যবহার করতে পারেন?
★ স্রেফ খেলাটা জায়েজ কি-না সেটা প্রশ্নের অবকাশ রাখে কিন্তু জাতীয় পর্যায়ের ম্যাচগুলো যে হারাম তাতে কোন সন্দেহ নেই। হারামকে এভাবে নরমালাইজেশন করে তোলা এই প্রজন্ম দা জ্জা লের ভেলকিবাজি দেখে সুবহানাল্লাহ বলবে না তার নিশ্চিয়তা কি?।
★ ভিডিও তে দেখলাম, জনৈক লোক অবসর ঘোষণা দেওয়া ভাইয়ার গাড়ীর পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে একটা পর্যায়ে লুটিয়ে পড়ে কপাল আর মাটি থাবড়াচ্ছেন। ভিডিওটির শেয়ার সংখ্যা এবং কমেন্ট বক্স চেক করে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: মহরে ফাতেমির পরিমাণ কত টাকা?
শেষে আপনার কাছে জানতে চাই-
নবীদের অনেক ওয়ারীশ বন্দী শালায় আটকানো; এজন্য আপনার কি কোন দিন মন খারাপ হয়েছে? কোনদিন ইন্না-লিল্লাহ পড়েছেন? উত্তর যদি 'না' হয়, তাহলে আপনার চেতনার চিকিৎসা করা উচিত।আল্লাহ তায়া’লা আমাদেরকে বুঝার তাওফিক দান করুক। আমিন।