মানসাঙ্ক (কষ্টিপাথর-২) বই রিভিউ - ডা. শামসুল আরেফীন

 ▌বই নং: ১০

মানসাঙ্ক (কষ্টিপাথর-২) বই রিভিউ - ডা. শামসুল আরেফীন



বই: মানসাঙ্ক। 

সংকলনে: ডাঃ শামছুল আরেফিন শক্তি। 

প্রকাশনী: সমকালীন। 

পৃষ্ঠা:১৬৪।

ক্যাটাগরি: থিউরিক্যাল

ভাষা: বাংলা।


▌ শর্ট রিভিউ:

"আমার বই নাস্তিকদের দিয়ে অপচয় করার দরকার নেই। কেবল আমার মতো দুর্বল মুমিনদের জন্যই আমার লেখা।" বইটির ভূমিকায় এমন লাইন দেখে লেখকের প্রতি মন থেকেই ভালো লাগা কাজ করে। যদিও 'ডাবল স্ট্যান্ডার্ড' বইর মাধ্যমে তার লেখার সাথে পূর্ব থেকেই পরিচিত। 

এই বইতে দাম্পত্য জীবনের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে লেখা হ্যভলক এলিসের বিখ্যাত বই psychology of sex এর মনঃসমস্যা গুলোর ইসলামিক সেটআপে সমাধানের পথ দেখিয়েছেন। 

ধর্ষণ সংগঠিত হলে একদল পোশাককে দায়ী করি অপরদল পুরুষের বিকৃতমনা কে; আসলে উভয় দলই বিভ্রান্তিতে নিপোতিত। বিভ্রান্তি বুঝতে হলে জানতে হবে মনের বন্ধ কপাটের নির্দিষ্ট প্যাটার্নগুলো।

বায়োমেট্রিকের মতো প্রত্যেক মানুষের রয়েছে ভিন্ন সিম্বল এবং ভিন্ন উদ্দীপকের জন্য জেগে ওঠা ভিন্ন ভিন্ন মাইন্ড সেটআপ। যেমন:

☞ কারো সিম্বল নারীর ব্রা। যার মাইন্ড সেটআপে ব্রা উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। 

☞ কারো সিম্বল নারীর হাত-পা। যার মাইন্ড সেটআপে ছোট কি বড় সব নারীর হাত-পা উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। 

☞কারো কারো ক্ষেত্রে স্বাভাবিক কাপড়,পেশাব,চুল,নখ,ঘ্রাণ,গলার স্বর ইত্যাদি ইত্যাদি। 

☞ কারো কারো মাইন্ড সেটআপে পশু গরু ছাগল হাঁস মুরগী ইত্যাদি বিষয় ও উদ্দীপক হিসেবে কাজ করতে পারে।

ধর্ষণ রোধে পশ্চিমা প্রেসক্রিপশন

☞সহশিক্ষা।

☞ফ্রি-সেক্স।

☞ ফ্রি- মিক্সিং। 


পশ্চিমা প্রেসক্রিপশনের বিষক্রিয়া 

☞বিশ্বব্যাপী সহশিক্ষার কুফলে ধর্ষণ মহামারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিভিন্ন রিচার্স পেপার গুলো যার বাস্তব প্রমাণ। 

☞৯৫% ভাগ মুসলমাননের আবাস ভূমি বাংলাদেশে রাষ্ট্রকর্তৃক পতিতালয় অনুমোদিত হলেও স্বয়ং আমেরিকার নাভাদা রাজ্য ছাড়া ভিন্ন কোন রাজ্য ফ্রী সেক্স বা পতিতালয় রাষ্ট্রকর্তৃক স্বীকৃত নয়। 

☞ফ্রি মিক্সিং সমাধানের মাধ্যম হলে জার্মানি থেকে ন্যাদারল্যান্ড পর্যন্ত তথাকথিত সভ্যতার উন্নত দেশে পশুকাম,শিশুকামের মতো অস্বাভাবিক যৌনচার নিয়ন্ত্রণে সেদেশীয় সরকার আইন প্রনয়ণ করতো না।


রেপিস্টদের পাঁচটি বিভাজন।

প্রথম চার প্রকার ৯২%। যারা আমাদের মতো সাধারণ মানুষ। যারা আকস্মিক বিপর্যয় ঘটায়। তারা নিজেরা-ও জানে না সুযোগ কিভাবে তাদেরকে ধর্ষণে উদ্ভুদ্ধ করেছে। বাকি ৮% হলো স্যাডিস্ট বা বিকৃতমনা। অশ্লীলতার সহজলভ্যতাই এটার জন্য দায়ী। 


তাহলে ধর্ষণের জন্য মূল দায়ী কে? পোষাক না-কি পুরুষের বিকৃত মনমানসিকতা? এবং এর প্রতিরোধে করণীয় কি? 

আরও পড়ুন: দ্যা এ্যালকেমিস্ট বই রিভিউ

প্রকৃতপক্ষে ধর্ষণের জন্য শুধুমাত্র পোশাক বা পুরুষের বিকৃত মনমানসিকতাই একমাত্র দায়ী নয়। ধর্ষণের জন্য দায়ী নিন্মোক্ত তিনটি বিষয়।

১। মাইন্ড সেটআপ 

২।উদ্দীপক

৩। উপযুক্ত পরিবেশ। 

তাহলে আমরা পেলাম নির্দিষ্ট মেন্টাল সেট-আপের কেউ উপযুক্ত পরিবেশে নির্দিষ্ট উদ্দিপকের কিছু পেলে ধর্ষণ সংগঠিত হয়। 

ধর্ষণ প্রতিরোধে আমরা দায়ী মূল তিনটি কারণ গুলোর সমন্বয় কখনো হতে দিবো না। তাহলেই আমরা ধর্ষণ রোধ করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। আর ধর্ষণ রোধে এটি প্রাথমিক সমাধান  

এভাবেই বইটিতে লেখক আলোচনার মূল পর্বে করেছে। পরবর্তীতে ধর্ষণ রোধে ওনার প্রেসক্রিপশন পরক্ষণেই ইসলাম কর্তৃক ১৪০০ বছর পূর্বেই এর সমাধান দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

বিস্তারিত জানতে মূল বইটি পড়ুন।

Learn With Iqbal

I'm Muhammad Iqbal Hossain, a language teacher. Languages ignite my passion – their ability to connect us and unlock new worlds. youtube facebook instagram telegram whatsapp

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন