বাংলাদেশে জামাতে ইসলামির প্রতিষ্ঠাতা মওলানা আব্দুর রহিম রঃ পদত্যাগের বিস্তারিত বিবরণ

গনতন্ত্র না-কি খিলাফত। বাংলাদেশে জামাতে ইসলামির প্রতিষ্ঠাতা মওলানা আব্দুর রহিম রঃ পদত্যাগের বিস্তারিত বিবরণ।

বাংলাদেশে জামাতে ইসলামির প্রতিষ্ঠাতা মসওলানা আব্দুর রহিম রঃ পদত্যাগের বিস্তারিত বিবরণ
পিকচারে মাওলানা আব্দুর রহিম রঃ 

লেখাটি দীর্ঘ এবং কারো কারো জন্য অপ্রয়োজনীয়-ও বটে। সময় না-থাকলে পোস্ট টি এড়িয়ে যান। প্রথম শিরোনাম টি দুই বছর পূর্বে লেখা একটি পোস্টের। এই পোস্টটি কেউ পড়ার ইচ্ছে করলে কমেন্ট বক্সে থাকা লিংকের লেখাটি পড়ে আসুন।


উপমহাদেশের অন্যতম ইসলামি চিন্তাবিদ, বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলনের স্থপতি , ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নদ্রষ্টা, ইসলামি গণ বিপ্লবের প্রবক্তা মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহীম রাঃ। তার সম্পর্কে একটি পোস্ট কে কেন্দ্র করে অনেকের কমেন্ট গুলো পড়লাম। এর মধ্যে কিছু কিছু "কমবখত" এর কমেন্ট দেখে  দুঃখ পেলাম। কেউ কেউ ইতিহাস বিকৃত করেছেন ,কেউ কেউ মিথ্যাচার করেছেন কেউ কেউ যাদের নেতার নেতারাও ওনাকে সর্বান্তকরণে শ্রদ্ধা করতো তাকে অবজ্ঞামূলক কথা বলে বেয়াদবি করেছেন। তাই এ ব্যাপারে কিছু বলা প্রয়োজন মনে করছি।


৭৯ সালের নির্বাচনে ২০ জন নয় ,আইডিএল থেকে মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সহ ছয় জন নির্বাচিত হয়েছিলেন। যদিও এই নির্বাচনে আব্বাস আলী খান সাহেব, মতিউর রহমান নিজামী সাহেব, মাওলানা এ কে এম ইউসুফ সাহেব , শামসুর রহমান  সাহেব সহ অনেকেই আইডিয়াল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে গিয়েছিলেন। মাওলানা আব্দুর রহিম, মাওলানা নুরুন্নবী সামদানী, অধ্যাপক রেজাউল আলম খন্দকার ,অধ্যাপক সিরাজুল হক  , মোজাম্মেল হক ও মাস্টার শফিকুল্লাহ সাহেব এই ছয় জন আইডিএল থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। আইডিএল ও মুসলিম লীগের জোট "ইসলামী ফ্রন্ট" পেয়েছিল ২০টি আসন। ১৪ টি পেয়েছিল মুসলিম লীগ ,সবুর খান একাই তিনটি ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী দুইটিসহ।


তখন আন্ডারগ্রাউন্ড জামাতের আমির ছিলেন মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহিম। তার নেতৃত্বে জামাতের সুরার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নেজামে ইসলাম, পিডিপি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফতে রাব্বানী , আই ডি পি,ও মুসলিম লীগের এক অংশের  সমন্বয়ে খতিবে আজম মাওলানা সিদ্দিক আহমেদের নেতৃত্বে ১৯৭৬ সালে "ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ" (আইডিএল) গঠন হয়েছিল। ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছিল "আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে আমরা ঘোষণা করছি যে, আমাদের পূর্বতম পরিচিতি বিলুপ্ত করে বাংলাদেশের গ্রহণ করে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার শপথ নিয়ে দেশকে ইসলামী রাষ্ট্র ও সমাজ  প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আইডিএল এর ব্যানারে কাজ করব।"এক বছর পরে এ দলের কাউন্সিলে মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহিম র; চেয়ারম্যান ও মাওলানা আবদুস সোবহান সাহেব সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচিত হন।


 কিন্তু ১৯৭৮ সালে প্রফেসর সাহেব দেশে এসে প্রাক্তন ছাত্র সংঘের নেতাদেরকে নিয়ে বিলুপ্ত হওয়া আন্ডারগ্রাউন্ড জামাতকে আবার সংগঠিত করেন। তিনি জামাতে ইসলামের নামেই আবার কাজ করার উদ্যোগ নেন। তিনি প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড জামাতের আমির হন পরে আনুষ্ঠানিকভাবে জামাতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে নিজে আন্ডারগ্রাউন্ড আমির হন এবং আব্বাস আলী খানকে অস্থায়ী আমিন করেন। আইডিএল এর সবাইকে আইডিএল ছেড়ে জামাতের সাথে কাজ করার জন্য বলেন। এবং আইডিএল এর এমপিরা সংসদে আইডিএল এর পরিচয় দেবে। এটা ছিল জামাতের সিদ্ধান্ত। এ সময় মতদ্বৈততা এতদূর পর্যন্ত গড়ায় যে ,এক পর্যায়ে আইডিএল এর চেয়ারম্যান মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এবং সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুস সোবহান বিবৃতি দিয়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান । তারা বলেন ,অন্য একটি দলের মিটিংয়ে আইডিএল থাকবে কি থাকবে না ,আইডিএল এর সদস্যরা কি করবে না করবে সেই সিদ্ধান্ত দিতে পারেনা। আমরা আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে ওয়াদা করেছিলাম আমাদের পূর্বতম পরিচয় বিলুপ্ত করে আইডিএল এর মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করব। এবং সেই ওয়াদার উপরে অটল আছি। তাঁরা আইডিয়ালের সাথে সবাইকে কাজ করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বিবৃতি দেন। এভাবে তখন আইডিএল ও জামাত ভাগ হয়ে যায়। সংসদের ৬ জন এমপির মধ্যে চারজন মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সহ আইডিএল এ থেকে যান, আর দুইজন মাস্টার শফিকুল্লাহ সাহেব এবং মোজাম্মেল হক সাহেব জামাতের সাথে যোগ দেন। মূলত জামাতের অস্তিত্ব আইডিএল গঠনের সময়ই বিলুপ্ত করা হয়েছিল। সেই অর্থে জামাত থেকে পদত্যাগ বা বহিষ্কৃত হওয়ার প্রশ্নই আসে না বরং আইডিএল থেকে কেন্দ্রীয় আইস চেয়ারম্যান মাওলানা এ কে এম ইউসুফ, আব্বাস আলী খান ,শামসুর রহমান ,ঢাকা সিটি চেয়ারম্যান মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী সহ অনেকে আইডিএল ত্যাগ করে জামাতের সাথে যোগ দিয়েছিলেন।এটাই ইতিহাস।


অনেকে কমেন্টে বলেছেন বর্তমান বিশ্ব চলছে পুঁজিবাদ ও গণতন্ত্র দিয়ে কাজেই এর বাইরে যাওয়া অসম্ভব। হ্যাঁ ভাই যুগে যুগে পৃথিবী সব সময়েই চলছে অনইসলাম দিয়ে । আর নবী-রাসূলরা তার মোকাবিলা করেছে ইসলামের আদর্শ দিয়ে।

মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহিম জীবনের সূচনা লগ্ন থেকেই ইসলামিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে কলকাতায় পাঠ্যকালীন সময়ের থেকেই লেখালেখি করতেন। তিনি একসময় এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন সাইয়দ আবুল আলা মওদুদী সাহেবের চিন্তাধারাকে। তাইতো মাওলানা মওদুদীর জামাতে ইসলামী প্রতিষ্ঠার সম্মেলনে বৃহত্তর বাংলা থেকে যে দুজন ছুটে গিয়েছিল তার মধ্যে একজন ছিলেন মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহিম। কলকাতা থেকে পড়াশোনা শেষ করে এসে নিজ জেলা বরিশাল পিরোজপুরে তিনি প্রথম জামাতের কার্যক্রম শুরু করেন। পরে সে কার্যক্রম একজন অবাঙালি উর্দুভাষীকে সহ ঢাকা কেন্দ্রিক শুরু হয়। বাংলায় জামাতের প্রতিষ্ঠাতা স্থপতি তিনিই। তার হাতেই প্রফেসর গোলাম আজমসহ জামাতের প্রায় সব সিনিয়র নেতারা সংগঠনে এসেছে। ৬৮ সাল পর্যন্ত তিনি পূর্বপাকিস্তান জামাতের আমির ছিলেন । এরপরে পূর্ব পাকিস্তানের আমির পদ প্রফেসর সাহেবকে ছেড়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় জামাতের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি "নায়েবে আলা" হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একাত্তরে পাকবাহিনীকে সহায়তায় তার সায় ছিল না বরং তিনি স্বাধীন পূর্ব পাকিস্তান এর জন্য আন্দোলনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব পাস না হ‌ওয়ায় পুরো সময়টা চুপ ছিলেন। স্বাধীনতার পরে মাওলানা আব্দুল জব্বার ও আব্দুল খালেকের পরে তিনি আন্ডারগ্রাউন্ড জামাতের  আমিরের দায়িত্ব পালন করেন। ৭৫ এর পরে নতুন করে দেশে রাজনৈতিক দল গঠনের সুযোগ এলে তিনিই উদ্যোগ নিয়ে সকল ইসলামী দলের সমন্বয়ে ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ আইডিএল গঠন করেন। তিনিও তখনও গণতন্ত্রের মাধ্যমেই ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা ভাবতেন। সেই চিন্তাভাবনায় তিনি উনাশির সংসদে সদস্য হন। সংসদে ইসলামের পক্ষে অনেক জোরালো বক্তব্য রাখেন অনেক বিষয়ে সংস্কার করেন। সেই বাস্তবতার আলোকেই তিনি উপলব্ধি করেন পুঁজিবাদের দেখানো পথ গণতন্ত্রের মাধ্যমে কিছু সংস্কার হতে পারে কিন্তু কখনও পরিপূর্ণ ইসলামী রাষ্ট্র কিংবা ইসলামী সরকার ও সমাজ প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না।


এই সময় এরশাদ সাহেব ক্ষমতা দখল করার ফলে সংসদ বাতিল হয়ে যায়। এর আগেই ১৯৭৯ সালে ইরানে সামাজিক‌ও গন বিপ্লবের মাধ্যমে ইমাম খোমেনীর নেতৃত্বে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়। সেখানকার  বাস্তব অবস্থা পরিদর্শনে তিনি প্রথমে আইডিএল নেতা অ্যাডভোকেট সাদ আহমেদ ও মাওলানা আবদুস সোবহান সাহেবকে পাঠান। পরে নিজে গিয়ে সরজমিনে ইরানের বাস্তবতা অবলোকন করেন। ইমাম খোমেনি সহ বিপ্লবের নেতাদের সাথে কথা বলেন। এদিকে বাংলাদেশে তখন সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম হযরত হাফেজ্জী হুজুর তওবার রাজনীতির নামে রাজনীতিতে আসেন। মাওলানা আব্দুর রহিম তাকে সমর্থন দিয়ে তার নেতৃত্বে মেজর জলিল ,সাইখলল হাদিস ম‌ওলানা আজিজুল হক, মাওলানা ফজলুল হক আমিনী এবং আরো কিছু দলের সমন্বয় সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। এই সময়ে তার সারা জীবনের অভিজ্ঞতা চিন্তা ও গবেষণার ফলশ্রুতিতে তিনি সুস্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা দেন , পুঁজিবাদ একটি কুফরি সিস্টেম। গণতন্ত্র হচ্ছে পুঁজিবাদের বাহক, আর গণতন্ত্রের পথ হচ্ছে তথাকথিত নির্বাচন। এই নির্বাচন ও গণতন্ত্রের মাধ্যমে শুধু পুঁজিবাদ‌কে‌ই শক্তিশালী করা যায়। কোন অবস্থায় কুরআন সুন্নাহ তথা ইসলামী রাষ্ট্র সমাজ এ পথে প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। এই সময়ে তিনি উল্লেখিত বইগুলো লিখেন। সেখানে সুস্পষ্ট ভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পথ পদ্ধতি হিসেবে সাধারণ জনগণের মধ্যে "গণপ্রচার", জনগণকে সংগঠিত করার জন্য "গণ সংগঠন" "গণ প্রতিবাদ ও আন্দোলন" এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে ইসলামিক গণ বিপ্লবের মাধ্যমে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার রূপরেখা উপস্থাপন করেন। উল্লেখিত তিনটি বই এই পথ পদ্ধতির মাস্টারপিস। এই সময় তিনি তার চিন্তাধারার আলোকে আইডিএল এর নাম পরিবর্তন করে "ইসলামী ঐক্য আন্দোলন" নামকরণ করেন। মৃত্যুর পূর্ব দিন পর্যন্ত তিনি এই চিন্তাধারা এই আন্দোলন সকলের কাছে পৌঁছানো এবং বাংলাদেশের সকল ইসলামে বিশ্বাসী মানুষদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। তাই যদি আপনি আল্লাহর পথের সৈনিক হিসেবে নিজেকে মনে করেন তাহলে আল্লাহর পথের এই মহান সৈনিক গবেষক উদ্ভাবক এবং সারা জীবন যিনি ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন মুসলমানদের ঐক্যের জন্য নেতৃত্ব দিয়েছেন সেই মহামানব সম্পর্কে কথা বলার আগে একটু চিন্তা ভাবনা করে কথা বলবেন। আধুনিক জাহিলিয়াতের অন্যতম হচ্ছে দল পূজা বা দলীয় জাহিলিয়াত। এই দলীয় জাহিলিয়াত থেকে আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন।


সম্পূর্ণ লেখাটি দুই বছর পূর্বে মাওলানা আব্দুর রহিম রঃ কে নিয়ে একটি পোস্টে আজকের ভোলার সাংবাদিকের মূল্যবান কমেন্ট । 


এত দীর্ঘ কমেন্টটি এখানে এ জন্যই পোষ্ট করা, দেশের টপ একটি ইসলামি রাজনৈতিক দলের মূল নেতা যখন ইসলাম প্রতিষ্ঠায় গনতন্ত্রের অসারতা বুঝে জীবনের শেষ পর্যায়ে বই লেখতে পারেন সেখানে গনতন্ত্র দিয়ে ইসলাম প্রচেষ্টা বোকার স্বর্গে বসবাসকারীদের দ্বারাই সম্ভব। 


ফেসবুকে করা আমার পোস্ট টি ছিলো-

গণতন্ত্র না খিলাফত!


ছবির ব্যাক্তিটির নাম মাওলানা আব্দুর রহিম। উনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা আমির। শুনেছি  ছারছিনা শরীফে পড়েছেন। এক বুতাম জামা ও গায়ে দেন।  উনার হাতেই এদেশে জামায়াতে ইসলামীর কার্যক্রমের  গোড়াপত্তন হয়। মাওলানা মওদুদী সাহেবের উর্দু কিতাবগুলো তিনি অনুবাদ করতেন এবং মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দিতেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো তার হাতে গড়া জামায়াতে ইসলামী থেকে তিনি নিজেই পদত্যাগ করেন। 

আরও পড়ুন: নামাজ পড়লে জান্নাতে যাওয়া যাবে কি?

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তার হেদায়াত নসীব করেছিলেন কারন তিনি বুঝতে পেরেছিলেন কুফরি গনতন্ত্র দিয়ে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা শয়তানের ধোকা ছাড়া আর কিছুই নয়। গনতন্ত্রের অসারতা প্রমান করার জন্য তার লিখিত তিনটি বই ই যথেষ্ট ইন শা আল্লাহ। 


১. গনতন্ত্র নয় পুর্নাঙ্গ বিল্পব।

২. গনতান্ত্রিক ব্যাবস্হা ও শুরায়ী নিজাম।

৩. প্রচলিত রাজনীতি নয় জিহাদই কাম্য।


জামায়াত-শিবিরের সিলেবাসে মাওলানা আব্দুর রহিম  রচিত অসংখ্য বই রয়েছে কিন্তু এই বই তিনটি নেই। এর চেয়ে বড় ভণ্ডামি, প্রতারনা ও ডাবল স্ট্যান্ডবাজি আর কিছু হতে পারে না। 


বাংলাদেশে জামাতে ইসলামির প্রতিষ্ঠাতা মওলানা আব্দুর রহিম রঃ পদত্যাগের বিস্তারিত বিবরণ
পিকচারে মাওলানা আব্দুর রহিম রঃ 




Learn With Iqbal

I'm Muhammad Iqbal Hossain, a language teacher. Languages ignite my passion – their ability to connect us and unlock new worlds. youtube facebook instagram telegram whatsapp

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন