চলমান শিক্ষা ব্যবস্থায় আদর্শ শিক্ষকের করণীয়গুলো কি কি?
এশার নামাজ পড়ে ঘুমানো একটি জাতি ফজরে উঠে জানতে পারলো তারা আর প্রকাশ্যে আজান দিতে পারবে না। মাথা থেকে পা পর্যন্ত হিজাব পড়া নারী জানতে পারলো হিজাব পড়া নিষিদ্ধ। এমনকি এতদিন যাবত চলে আসা মাতৃভাষার বর্ণমালাগুলো-ও পরিবর্তন করে সকাল করতে হচ্ছে ভিনদেশী ভাষায়।
১৯২৩ সালের ঐতিহাসিক লুজান চুক্তির পর তুরস্কের এক সকালের চিত্র এটি। কামাল আতাতুর্কের তুরস্কে এরদোয়ানের উত্থান এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন সাথে মুক্ত অর্থনীতির(!) দেশ হওয়ার পিছনে আসলে রহস্যটা কি?
তুরস্কের স্কুলগুলোতে এখন নিয়মিত কুরআনের হাফেজ তৈরী হচ্ছে। পথভ্রষ্ট সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থান রুখে দাঁড়ানো একটা প্রজন্ম তৈরী হয়ে গেছে। আতাতুর্ক থেকে এরদোয়ান পর্যন্ত জার্নিটা সহজ ছিলো না। হাজারো স্বপ্নবাজের নির্ঘুম রাত এর পিছনে ব্যায় হয়েছে। শত শত নাম না-জানা নাজিমুদ্দিন এরবাকানের জিবনাবসান হয়েছে এই পর্যায়ে আসতে।
উম্মাহর পদস্খলন থেকে উঠে আসতে তাদের জাতীয় বীরেরা বিভিন্ন কর্মপন্থা অবলম্বন করেছিলেন। শিক্ষার মাধ্যমে মগজধোলাই রোধে ঊনিশ শতকের ষাটের দশকে তাদের সরকারি স্কুল কলেজের পাশে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। জাতি গড়ার কারিগর শিক্ষকরা বাধ্য হয়েই বিদ্যালয়ে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বইগুলো পড়াতো। তবে তারা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে বইয়ের মানবতা বিরুধী অপ্রয়োজনীয় অংশগুলোর সঠিকটা ছাত্রদের সামনে তুলে ধরতেন।
কালের আবর্তনে সে প্রতিষ্ঠান গুলো থেকে হাফেজে কুরআন বের হচ্ছে। এই সাজানো সিলেবাস একদিনে হয় নি। হাজারো ত্যাগের বিনিময়ে আজ পর্যন্ত পৌঁছেছে।
লেখা দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে; শেষ কথা লিখে ফেলি। আমাদের সন্তানরা স্কুলে পড়ুক, অবশ্যই পড়ুক। তবে আমরা শিক্ষকরা শকূণের কালো থাবাকে রুখে দিবো। ওরা যদি একটা আতাতুর্ক বানানোর চেষ্টা করে, আমরা হাজারটা নাজিমুদ্দিন এরবাকান বানানোর চেষ্টা করবো। বইয়ের সাংঘর্ষিক বিষয়গুলো স্পষ্ট করে পড়াবো। তাদের ভাতাগ্রহন করে তাদের হাতেই হারিকেন ধরিয়ে দিবো। তাদের বিছানো জালে তাদেরকে ফাঁসিয়ে মার/বো।
দ্বীন ইসলাম জিন্দাবাদ
নাস্তি/Kতা নিপাত যাক।
আমি এখানে তুরস্কের গনতন্ত্রের কথা বলছি না। তাদের কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার পদ্ধতিটা জানিয়ে দিচ্ছি।
قُلۡ هلۡ یَستَوِی الَّذِیۡنَ یَعۡلمُوۡنَ وَ الَّذیۡنَ لَا یَعۡلمُوۡنَ ؕ اِنَّمَا یتَذَکَّرُ اُولُوا الۡاَلۡبَابِ
বলুন, ‘যারা জানে, আর যারা জানে না তারা উভয়ে কি সমান?’ বিবেকবান লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে থাকে।