অন্ধ অনুসরণ পরোক্ষভাবে নফসের পূজা।

অন্ধ অনুসরণ পরোক্ষভাবে নফসের পূজা

এই প্রজন্মের বড় একটি সমস্যা কি জানেন?

নিজ দলের মহারথীদের প্রভূ মনে করা। তাদের কে নিস্পাপ মনে করা। প্রথমে আমাদের ছারছীনা শরীফের কয়েকটি উদাহরণ দেই।

☞কাফিলুদ্দীন সরকার ছালেহী হুজুর। অনেক বড় আলেম তাতে কোনো সন্দেহ নেই । মুয়াবিয়া রাঃ এবং আল্লাহ কোথায় আছেন? ইত্যাদি মাসয়ালায় তাঁর বিচ্যুতি সুস্পষ্ট থাকার পরেও আমাদের কেউই তাঁর বিচ্যুতি স্বীকার করতে রাজি নয়। 

☞ আল্লামা মুস্তফা হামিদী রঃ।  মস্তবড় আহলে ইলম। তাঁর সম্পর্কে জানেন এমন কেউ এটা অস্বীকার করতে পারবে না। কিন্তু মিলাদুন্নবী সাঃ প্রমাণে তাঁর বইতে জাল বর্ণনার উল্লেখ করেছেন,  এটা আমাদের কেউ মানতে রাজি না। অথচ যুগে যুগে অসংখ্য মুফতি মুহাদ্দিসের তাসামু হয়েছে। 

যদি কেউ সৎ সাহস নিয়ে এগুলো তুলে ধরে তাকে নিশ্চিত স্বজাতির কাছে হেনস্তার স্বীকার হতে হবে।

☞ এবার আসি বায়তুল মুকাররমের খতিব নিয়োগের ব্যাপারে। কাফিল উদ্দীন সরকার ছালেহী হুজুরকে দালালিত্বের অভিযোগ কারীরাই আবার রুহুল আমিন হুজুরের প্রশংসায় পন্ঞ্ছমুখ; তাদের ভাষায় তিনি বিদায়াতি কাফিল উদ্দীন থেকে ভালো। নিজ দলের হওয়ায় এখানে কেউ দালালির অভিযোগ করে নি।


☞গনতন্ত্র না-কি খেলা/Fat  চলমান বিতর্কে দলবল নির্বিশেষে সকলের চোখে হারাম বিষয়টি চরমোনাই পক্ষের মানুষের চোখে বর্তমানে ইসলাম প্রতিষ্ঠার উত্তম মাধ্যম। তাসাউফ চর্চার একটি মারকাজের সর্বোচ্চ স্থানে থাকা একজন মানুষের উগ্রতা তাদের কাছে কুকুরের জন্য মুগুর সমতুল্য। 

☞আবার জি/হা/D নামে মুসলমানদের অধিকাংশকে তাকফির ঘোষণাকারীদের কাছে তারা ব্যাতিত অন্য কারো কথা শুনার প্রশ্নই আসে না।  তাদের রক্ত হালাল। নেতারা যা বলবেন তা-ই অহী।
একটু সহজে বললে, নিজ দলের বিচ্যুতি তাদের কাছে বিচ্যুতি না। কিন্তু ভিন্ন মতাদর্শের কারো পান থেকে চুন খসলেই এরা তুলকালাম ঘটিয়ে ফেলবে।

আমি এমন অসংখ্য উদাহরণ তুলে ধরতে পারবো। 

অথচ দেখুন আল্লাহ কি বলেন,
তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে তাদের ‘আলিম আর দরবেশদেরকে রব বানিয়ে নিয়েছে; সূরা তওবা আয়াত নং-৩১।

এই আয়াতের তাফসিরে মা'আরেফুল কোরআন, রুহুল মায়ানি,মাজহারীতে রয়েছে; আদি ইবনু হাতিম রাঃ বললেন হে আল্লাহর রাসূল আমরা আহলে কিতাবরা তো আমাদের আলেম এবং দরবেশের সামনে ইবাদত করতাম না।সিজদা দিতাম না। তাহলে আল্লাহ তায়ালা এই বাণীর হেকমত কি,? 

তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, তারা শরীয়ত প্রণয়নের হক, হালাল কে হারাম ঘোষণা আবার হারাম কে হালাল ঘোষণার হক আলেম এবং দরবেশদের দিয়েছিলো। এভাবেই তারা আলেম দরবেশদের প্রভুর স্থানে নিয়ে গিয়েছিলো।

প্রজন্মের এই অংশটার ব্যাপারে স্ব স্ব দলের নেতারা যদি এখনি সতর্ক না হোন তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এরা জাতির জন্য বিষপোড়া হয়ে দাড়াবে।

প্রিয় পাঠক! আপনি যদি মাসলাকের, দলের, নেতার ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে সঠিকটা ধরতে কার্পন্য করেন তাহলে জেনে রাখবেন ঐসব আহলে কিতাব আর আপনার মাঝে কোন পার্থক্য নেই।

আল ইয়াজু বিল্লাহ।

Learn With Iqbal

I'm Muhammad Iqbal Hossain, a language teacher. Languages ignite my passion – their ability to connect us and unlock new worlds. youtube facebook instagram telegram whatsapp

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন