লাল গরু এসে গেছে? আল আক্বসা ভেঙে থার্ড টেম্পল তৈরি করা হবে কি?

লাল গরু এসে গেছে?  আল আক্বসা ভেঙে থার্ড টেম্পল তৈরি করা হবে?

ইহুদি-ইসরায়েল দু'টি শব্দ শুনলে কয়েকটি বিষয় সামনে চলে আসে।

১। লাল গরু।

২। থার্ড টেম্পল। 

৩। মসীহ। (দাজ্জাল)

{getToc} $title={Table of Contents}



লাল গরু এসে গেছে, আল-আকসা ভেঙে থার্ড টেম্পল গড়া হবে?

প্রথমত আমরা এই তিনটি বিষয় সম্পর্কে সংক্ষিপ্তাকারে জানবো। তারপর সংশ্লিষ্ট আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। 


লাল গরু কি ?

তাওরাতে বর্ণিত রয়েছে , কোনো ব্যক্তি মৃতলাশ স্পর্শ করলে সে সাতদিন পর্যন্ত অপবিত্র থাকে। সে পবিত্র হতে হলে লাশ স্পর্শ করার ৩য় ও ৭ম দিনে বিশেষধরনের শুদ্ধকরণ পানিতে গোসল করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। অন্যাথায় সে অপবিত্রই থেকে যাবে।  সেই বিশেষ পবিত্রকরণ পানি তৈরি করতে লাগবে বিশেষ ধরনের গরু। যেটি আপাদমস্তক লাল হবে। লাল ভিন্ন একটি পশমও থাকতে পারবে না। সেই লাল গরুর সন্ধান এতদিন পাওয়া যায়নি বিধায়, পুরো ইহুদি জাতি নিজস্ব বিশ্বাস অনুযায়ী ‘অপবিত্র’ হয়ে আছে।

বিকৃত তাওরাতের ভাষ্য অনুযায়ী, গরুটির প্রতিটি পশমকে অবশ্য'ই লাল রঙের হতে হবে। একটি পশমও লাল ছাড়া অন্য রঙের হলে চলবে না। গরুটির গায়ে কোনো কাটাছেঁড়া  ত্রুটি বা খুঁত থাকতে পারবে না। গরুটিকে একেবারে অল্প বয়সী আবার বেশি বয়সী হলেও হবে না; বরং সেটি হতে হবে মধ্যম বয়সের। সেটির কাঁধে কখনো পানি সেচার কিংবা জমি চাষের জোয়াল তথা কোন কাজে ব্যবহৃত হলেও চলবে না। তার ঘাড়ের পশমকে আজন্ম  খাড়া এবং অটুট হতে হবে। এই গরুকে বিশেষ প্রার্থনা সহযোগে বলি দেওয়ার পর পুরো শরীর পুড়িয়ে ফেলে সেই ছাই পানিতে মিশিয়ে শুদ্ধিকরণ পানি তৈরি করতে হবে। সেই পানি দিয়ে ইহুদী ধর্মগুরুরা পবিত্র হবে। এর মধ্য দিয়ে পুরো ইহুদি জাতি পবিত্র হবে বলে তারা বিশ্বাস করে। পশ্চিমা দেশগুলোতে ‘রেড কাউ’—বলতে ইহুদীদের কল্পিত এই লাল গরুকে বুঝায়।

লাল গরু পাওয়া গেছে?

পৃথিবীর কোথাও লাল রংয়ের গরুর সংবাদ পেলে "টেম্পল ইনস্টিটিউট" নামক প্রতিষ্ঠান সেগুলোকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। কাঙ্ক্ষিত লাল গাভী কি না তা নিরীক্ষণের জন্য প্রথমে জন্ম নেয়া লাল গাভীকে কাঙ্ক্ষিত 'লাল গাভী ক্যান্ডিডেট' হিসেবে সিলেক্ট করে অতপর বেশ কয়েক মাস এমনকি পুরো বছর বিভিন্ন পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের মধ্যে

রাখা হয়। ইতিপূর্বে ১৯৯৭, ২০০২ ও ২০১৪ সালে তিনটি গাভীকে ক্যান্ডিডেট হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছিল কিন্তু পরে পরীক্ষায় তারা জানতে পারে সেগুলোর কোনোটিই কাঙ্ক্ষিত গাভী ছিল না। 

২০২২ সালে "বোনেহ্ ইসরায়েল" নামের একটি সংগঠন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঁচটি লাল গরু আমদানি করেছে; এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সংগঠনটির মুখপাত্র দাবী করছেন, আল-আকসা মসজিদের সন্নিকটে জাবালুজ জয়তুন বা মাউন্ট অলিভ এলাকায় একটি খামারে গরুগুলোকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি তারা সেই গাভী টি খুঁজে পেয়েছে মর্মে দাবী করে এবং ২০২৪ এর মধ্যেই সেই গাভী জ বা ই  সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করতে থাকে। RT, The Sun, Express, Mirror সহ অনেক মিডিয়া এটা প্রচার করেছে। 

তাওরাতে লাল গরুর বর্ণনা

তাওরাতের গণনাপুস্তকের ১৯ নং অনুচ্ছেদে শুচিকরণ জলের বিধি বর্ণনা করা হয়েছে,- 

সদাপ্রভু মোশি (মূসা আ:) ও হারোণকে (হারুনকে আ:) বললেন, ❝এটি একটি বিধি, একটি ব্যবস্থা, যেটা আমি আদেশ করছি: তা এই ইস্রায়েল সন্তানদেরকে (বনী ইসরায়েলকে) বল, তারা নির্দোষ ও কলঙ্ক বিহীন, যোয়ালি বহন করে নি, এমন একটি লাল গাভী তোমার  কাছে নিয়ে আসুক।❞

আল-কুরআনে বনী ইসরাইলের গরুর বর্ণনা

পবিত্র কুর’আনে আল্লাহ বলেছেন,- 

وَإِذ قالَ موسىٰ لِقومِهِ إِنّ اللَّه يَأْمرُكمْ أَن تَذْبَحوا بقَرةً ۖ  قالُوا أَتَتَّخِذُنَا هُزُوًا ۖ قَالَ أَعُوذُ بِاللَّهِ أَنْ أَكُونَ مِنَ الْجَاهِلِينَ ﴿٦٧﴾ قَالُوا ادْع لَنَا رَبّكَ يُبيِن لَّنَا ما هِيَ ۚ قَالَ إِنَّهُ يقولُ إِنَّهَا بقَرَةٌ لَّا فَارِض وَلَا بِكْرٌ عَوَانٌ بَيْنَ ذَٰلِكَ ۖ فَافْعَلُوا مَا تُؤْمَرُونَ ﴿٦٨﴾ قَالُوا ادْعُ لَنَا رَبَّكَ يُبَيِّن لَّنَا مَا لَونُهَا ۚ قَالَ إِنَّهُ يَقُولُ إِنّها بَقرَةٌ صَفرَاءُ فَاقِعٌ لَّوْنُهَا تَسُرُّ النَّاظِرِينَ ﴿٦٩﴾ قَالُوا ادْعُ لَنَا رَبَّكَ يُبَيِّن لَّنَا مَا هِيَ إِنَّ الْبَقَرَ تَشَابَهَ عَلَيْنَا وَإِنَّا إِن شَاءَ اللَّهُ لَمُهْتَدُونَ ﴿٧٠﴾ قَالَ إِنَّهُ يَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةٌ لَّا ذلُولٌ تُثيرُ الْأَرضَ وَلَا تَسقِي الْحرْثَ مسَلَّمةٌ لَّا شيَةَ فِيهَا ۚ قَالُوا الْآنَ جِئْتَ بِالْحَقِّ ۚ فَذَبَحُوهَا وَمَا كَادُوا يَفْعَلُونَ ﴿٧١﴾

❝যখন মূসা (আঃ) স্বীয় সম্প্রদায়কে বললেনঃ আল্লাহ তায়া’লা তোমাদের একটি গরু জবাই করতে বলেছেন। তারা বলল, তুমি কি আমাদের সাথে উপহাস করছ? মূসা (আঃ) বললেন, আমি আল্লাহ তায়া’লার কাছে মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। 

তারা বলল, তুমি তোমার পালনকর্তার কাছে আমাদের জন্য জিজ্ঞেস কর, যেন সেটির বিস্তারিত রূপ বিশ্লেষণ করে দিতে।

মূসা (আঃ) বললেন, তিনি বলছেন, সেটা হবে একটা গাভী, যা বুড়ো নয় এবং কুমারীও নয়-বার্ধক্য ও যৌবনের মাঝামাঝি বয়সের। এখন আদিষ্ট কাজ করে ফেল। তারা বলল, তোমার পালনকর্তার কাছে আমাদের জন্য জিজ্ঞেস কর যে, তার রঙ কিরূপ হবে?

মূসা (আঃ) বললেন, তিনি বলেছেন যে, গাঢ় পীতবর্ণের গাভী;যা দর্শকদের চমৎকৃত করবে। তারা বলল, আপনি প্রভুর কাছে জিজ্ঞেস করুন-তিনি বলে দিন যে, সেটা কিরূপ? কেননা, গরু আমাদের কাছে সাদৃশ্যশীল মনে হয়। ইনশাআল্লাহ এবার আমরা অবশ্যই পথপ্রাপ্ত হব। 

মূসা (আঃ) বললেন, তিনি বলেন যে, এ গাভী যোয়াল ও জল সেচনের শ্রমে অভ্যস্ত নয়- বরং হবে নিষ্কলঙ্ক, নিখুঁত। তারা বলল, এবার সঠিক তথ্য এনেছ। অতঃপর তারা সেটা জবাই করল, অথচ জবাই করবে বলে মনে হচ্ছিল না।❞ - (সূরা বাকারাঃ ৬৭-৭১)

তওরাতে এবং কুরআনে বর্ণিত গরুর পারস্পরিক মিল

ক। 'গাভী' হতে হবে।

খ। 'মাঝারী বয়সের' হতে হবে।

গ। 'কোনো চাষাবাদ বা অন্য কাজে ব্যবহৃত হয়নি' এমন হতে হবে।

ঘ।  'নিখুঁত ও কলঙ্ক বিহীন' হতে হবে।

বিঃদ্রঃ কুরআনে বর্ণিত গরুর ঘটনা ঘটে গেছে। কিন্তু বিকৃত তাওরাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে লাল গরুর কল্পিত কাহিনী তৈরী হয়েছে।ওল্ড টেস্টামেন্ট, নিউ টেস্টামেন্ট, তুরাহ, তালমুদ, বাইবেল ইত্যাদি গ্রন্থের সাথে আমাদের বিশ্বাসের কোনো যোগসূত্র নেই। আমাদের বিশ্বাস সেগুলো থেকে মুক্ত, পূতপবিত্র। সেসব গ্রন্থে যা লেখা আছে বা ভবিষ্যদ্বাণী হিসেবে যা উল্লিখিত আছে সেগুলোর সাথে আমাদের আকীদাগত কোনো সম্পর্ক নেই। এই জিনিসটা পরিষ্কার থাকলে এই ভয়, সেই ভয় আমাদেরকে নাড়িয়ে দিতে পারবে না।


থার্ড টেম্পল কি?

মুসলিম,ইহুদি, খ্রিস্টান ধর্মমতে সুলায়মান আ: মসজিদ আক্বসা প্রথম নির্মান করেন। এটিই হচ্ছে ফাস্ট টেম্পল বা সুলায়মানের প্রথম মন্দির। খ্রিষ্টপূর্ব ৫৮৬ সালে ইরাকের শাসক বখতে নছর এই ফাস্ট টেম্পল ধ্বংস করে ইহুদিদের বন্দি করে ইরাকে নিয়ে যায়। 

পরবর্তীতে খ্রিষ্টপূর্ব ৫১৬ সালে পারস্যের শাসকরা বখতে নসরকে পরাজিত করে ইহুদিদের ফিলিস্তিনে এনে ফাস্ট টেম্পলের ধ্বংসাবশেষের উপর সেকেন্ড টেম্পল তৈরি করে। ৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমানরা পারস্যের শাসকদের পরাজিত করে সেকেন্ড টেম্পল ধ্বংস করে সেখানে জুপিটার দেবতার মূর্তি স্থাপন করে। 

মক্কার মসজিদে হারামের মতো বায়তুল মুকাদ্দাসের চার দেয়ালের মধ্যবর্তী স্থানকে হারাম শরীফ বলা হয়। বায়তুল মুকাদ্দাসের হারাম এরিয়ায় মোট তিনটি মসজিদ রয়েছে। যথাক্রমে- কিবলি মসজিদ,কুব্বাতুস সখরা, {ডোম অফ দ্যা রক (সোনালি রংয়ের গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ)] বুরাক মসজিদ। সোনালি গম্বুজের পাশে ধূসর রংয়ে মোড়ানো ছোট মসজিদটিই হলো কিবলি মসজিদ বা আসল আক্বসা।

ইসরায়েলের প্রধান টার্গেট এই সোনালি রংয়ের গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ। এটিকে তারা ইংরেজিতে টেম্পল মাউন্ট এবং হিব্রু ভাষায় হার হাবাইত নামে অভিহিত করে। এটি প্রথমে কাজ শুরু করেছেন উমাইয়া খলিফা আব্দুল মালেক ইবনু মারওয়ান। পরবর্তীতে তার ছেলে ওয়ালিদ ইবনু আব্দুল মালেক ৭০৫ খ্রিস্টাব্দে এটির পূর্ণ কাজ শেষ করেন। পরবর্তী ভূমিকম্পে অনেকবার ক্ষতিগ্রস্থ হলে ধারাবাহিকভাবে এটি সংস্কার করেন- ৭৪৬ সালে আব্বাসীয় খলিফা মানসূর, ১০৩৩সালে ফাতেমি খলিফা আলী আজ-জহির।

ইসরায়েলীদের বিশ্বাস মতে এই সোনালি রংয়ের গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদের সুলায়মান আ: এর টেম্পল ছিলো। তারা এই মসজিদ ধ্বংস করে এখানে থার্ড টেম্পল বানাতে চায়।

থার্ড টেম্পল তৈরিতে আগ্রহীরা মনে করে বর্তমানে তাদের এই টেম্পল তৈরি করতে পূর্ণ সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু তাদের ধর্মমতে এই থার্ড টেম্পল তৈরি করতে হলে প্রথমে পবিত্র হতে হবে। আর পবিত্র হতে প্রয়োজন লাল গরু। 

থার্ড টেম্পলের কারণেই হামাস কর্তৃক ০৭।১০।২৩ ঈসায়ী ইসরায়েলে হামলা করা হয়েছে। 

শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি যে, থার্ড টেম্পল তৈরিতে বাধা দেওয়ার মানসেই ব্যাপক প্রাণহানির সম্ভাবনা সত্বেও হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে। বিস্তারিত জানতে মিডল ইস্ট আইয়ের "Israel-Palestine war: How Hamas sees the Gaza conflict unfolding - and why it thinks it can win"  এই শিরোনামের ০৪ঠা  নভেম্বরের প্রতিবেদন টি দেখতে পারেন। 

ফেরাউন থেকে মুক্তি পেয়ে বনী ইসরাইলরা যেদিন ফিলিস্তিনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিল সেদিনকে তারা পেসাখ উৎসব বা পাসওভার ফেস্টিভ্যাল নামে পালন করে। ২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে  তাদের এই পেসাখ উৎসবে লাল গরু জবাই করা হবে বলে সংবাদ প্রচার হয়েছিল। আর লালগরু জবাই করে নিজেদের তথাকথিত পবিত্র করলে সোনালী রংয়ের গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ ধ্বংস করে থার্ড টেম্পল তৈরি করার আর কোন বাঁধা থাকবে না। এই সম্ভাবনাকে সামনে রেখেই হামাস তাদের অসম আক্রমন শুরু করেছিল।

মসীহর (দাজ্জাল) আগমন

তালমুদের (ইহুদিদের আইন শাস্ত্র) ভাষ্যনুযায়ী তাদের ত্রাতা মসীহ (ইসলাম ধর্মমতে দাজ্জাল) আসার জন্য

তিনটি পূর্বশর্ত রয়েছে। 

১। পৃথিবীর সকল ইহুদি একস্থানে জড়ো হওয়া।

২। ইহুদিদের স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। 

৩। থার্ড টেম্পল নির্মাণ করা। 

বর্তমান ইহুদিদের মতানুসারে তারা প্রথম দুটি শর্ত ২য় বিশ্ব যুদ্ধের পরপরই পূরণ করতে পেরেছে। তাদের তিনটি সংগঠন এই কাজে অগ্রগতির জন্য প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করছে।  সংগঠন তিনটি যথাক্রমে- টেম্পল ইনস্টিটিউট, বোনেহ ইসরায়েল, রিটার্নিং দু দ্যা মাউন্ট। এবার তৃতীয় শর্ত থার্ড টেম্পল তৈরি করার পালা এজন্য তারা টেম্পলের জন্য প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ ইতোমধ্যে গ্রহন করেছে। যেমন- তাওরাতের ভাষ্যনুযায়ী টেম্পলের জন্য তামার জলপাত্র,৪৫কেজি স্বর্ণ দিয়ে বানানো সোনার আলোকদানি'সহ নানান আসবাবপত্র। ইউটিউবে দেওয়া টেম্পল ইন্সটিটিউট এর ভিডিও অনুযায়ী জেরুজালেরেমের ওল্ড সিটির ইহুদি মহল্লার সেন্ট্রাল প্লাজায় এসব  সংরক্ষিত আছে।


আরও পড়ুন: ছাত্র বেত্রাঘাতের ইসলামি হুকুম কি?


দাজ্জাল সংক্রান্ত কয়েকটি সহিহ হাদিস

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللّهِ بْنُ سعِيدٍ الْكِنْدِيُّ، حَدّثَنِي عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ السَّكونِيُّ، حَدّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ خُبَيبِ بْنِ عَبْدِ  الرَّحْمنِ، عَنْ حَفصِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي هرَيْرَةَ، قَالَ قالَ رَسولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ يُوشكُ الْفُرَاتُ أَنْ يَحسِرَ عَنْ كَنْزٍ مِنْ ذَهَبٍ فَمنْ حَضَرَهُ فلاَ يَأخُذْ مِنْهُ شيْئًا ‏"‏    ‏

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেছেন, অচিরেই  ফুরাত নদী স্বর্ণের খনি উন্মুক্ত করবে। অতএব যদি তোমাদের কেউ সেখানে উপস্থিত থাকে সে যেন তা হতে কিছুই গ্রহণ না করে।  

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৩১৩।

অলরেডি খরস্রোতা ফুরাতের পানি কোন কোন স্থানে  হাঁটু পরিমানে নেমে আসছে। কাজেই হয়তো সময় ঘনিয়ে আসছে।

লূদ শহরে দাজ্জাল কে হত্যা করা হবে। ইতোমধ্যে ইসরায়েল লূদ নামক শহর তৈরি করে ফেলছ যা ইতিপূর্বে ছিলো।  

লূদ শহরে দাজ্জালের হত্যার বিষয়টিও সহিহ হাদিসে এসেছে। একটু গুগল করলেই সব সহজে পেয়ে যাবেন। 

দাজ্জালের ফেতনা থেকে বাঁচতে করণীয়

সূরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত অর্থসহ মুখস্থ করে নিজের রুকইয়া করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করতে হবে। ঈমান আমল হিফাজতে করার প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে। 

উপসংহার

উপরে লাল গরু এসে গেছে? এবং আল-আকসা ভেঙে ইহুদি থার্ড টেম্পল তৈরি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তবে আমাদেরকে মনে রাখতে হবে ইহুদী ধর্ম বিশ্বাসের সাথে আমাদের ধর্মের কোন যোগ সূত্র নেই। কাজেই আমাদের কে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

থেকে সহিহ সনদে বর্ণিত ফেতনা সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। আল্লাহ তায়া’লা আমাদেরকে বুঝার তাওফিক দান করুক। আমিন।

Learn With Iqbal

I'm Muhammad Iqbal Hossain, a language teacher. Languages ignite my passion – their ability to connect us and unlock new worlds. youtube facebook instagram telegram whatsapp

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন