সোনাকান্দা দারুল হুদা দরবার শরীফের পরিচিতি
সোনাকান্দা দরবার পরিচিতি ও অবস্থান:
বিংশ শতাব্দীর মধ্য ভাগে বর্তমান বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে অর্থাৎ কুমিল্লা, নরসিংদী, গাজিপুর, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে মানুষকে কুসংস্কার ও হিন্দুয়ানী চালচলন থেকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে যে সকল দরবার ধর্ম প্রচারে অনন্য অবদান রেখেছিলেন তাদের মধ্যে কুমিল্লা জেলার, মুরাদনগর উপজেলার, বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আধ্যাত্মিকতার মারকাজ ঐতিহ্যবাহী সোনাকান্দা দারুল হুদা দরবার শরীফ অন্যতম।
সোনাকান্দা দরবার শরীফের যোগাযোগ ব্যবস্থা:
ঢাকা, কুমিল্লা হতে বাস যোগে কোম্পানীগঞ্জ। সেখান থেকে পুনরায় বাস যোগে মেটাংঘর। মেটাংঘর থেকে ২ মাইল পশ্চিমে রিকসা, অটো, সিএনজি যোগে সোনাকান্দা দারুল হুদা দরবার শরীফ। অথবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ভৈরব, নরসিংদী হতে নবীনগর। সেখান থেকে বাস যোগে মেটাংঘর। মেটাংঘর হতে ২ মাইল পশ্চিমে রিকসা, অটো, সিএনজি যোগে সোনাকান্দা দারুল হুদা দরবার শরীফ।
সোনাকান্দা দরবারের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান পরিচালক:
ঐতিহ্যবাহী সোনাকান্দা দারুল হুদা দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন হাফেজ মাওলানা আবদুর রহমান হানাফি রহ.। তিনি ১৯০০ ইং সনে সোনাকান্দা গ্রামে এক ঐতিহ্যবাহী দীনি পরিবার সম্রান্ত গাজী বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তার পূর্ব পুরুষগণ পাঞ্জাবের অধিবাসী ছিলেন। স্বীয় পিতা আফসার উদ্দিন মুন্সির কাছেই তার প্রাথমিক শিক্ষার হাতেখড়ি। পরবর্তীতে চান্দিনা থানার হারং মাদরাসা থেকে জামাতে পানজম ও ঐতিহ্যবাহী ইসলামি বিদ্যাপীঠ ঢাকা হাম্মাদিয়া মাদরাসা থেকে ১৯২৩ সালে কৃতিত্বের সাথে জামাতে উলা পাশ করেন এবং ছয় প্রকার বৃত্তিসহ ১ম গ্রেডে বৃত্তি লাভ করেন।
হাফেজ আবদুর রহমান হানাফি রহ. ১৯২৯ সালে আমিরুশ শরীয়ত ওয়াত তরিকত, মোজাদ্দিদে জামান আবু বকর সিদ্দিকী আল ফুরফুরাভী আল কোরাইশী রহ. এর দস্ত মোবারকে তরিকতের বায়াত গ্রহণ করেন এবং ১৯৩৮ সনে আরব আজম সফর শেষে দেশে আসলে চার তরিকার খিলাফত প্রাপ্ত হন। তিনি আমৃত্যু ইসলামের খেদমতে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৬৪ সনের ১৮ ই মে, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৩৭১ বাংলা, ৫ই মহররম ১৩৮৪ হিজরী সনে তিনি প্রভুর সান্নিধ্যে পরপারে পারি জমান। সোনাকান্দা দারুল হুদা দরবার শরীফের মসজিদের উত্তর পাশে তিনি শায়িত আছেন।
বর্তমানে দরবারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও পরিচালক হিসেবে নিরলস খেদমত করে যাচ্ছেন হাফেজ আবদুর রহমান হানাফি রহ. এর নাতি, পীর শামসুল হুদা রহ. এর বড় ছেলে শাহ সূফি হযরত মাওলানা মাহমুদুর রহমান (মা.জি)। তিনি ২০০৫ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করে অদ্যাবধি দাদা ও পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি সোনাকান্দা দারুল হুদা বহুমূখী কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল পদে নিয়োজিত আছেন।
সোনাকান্দা দরবারের উল্লেখযোগ্য উলামায়ে কেরাম:
বিভিন্ন সময়ে অসংখ্য উলামায়ে কেরাম ও খোলাফাগণ এ প্রতিষ্ঠান ও দরবারের খেদমত করেছেন। তন্মধ্যে -
০১. মাওলানা আবদুল জব্বার,শিদলাই।
০২. মাওলানা আবদুল হালিম, সোনাকান্দা।
০৩. মৌলভী সাইদুর রহমান, কোটনা।
০৪. কারী রহমতউল্লাহ, রাজা চাপিতলা৷
০৫. মাওলানা ফজলুল হক, ফাতেহাবাদ।
০৬. মাওলানা মতলুব উদ্দিন, মহিষারকান্দি।
০৭. মাওলানা আবদুর রাজ্জাক, নাগাইশ।
০৮. মাওলানা ইয়াকুব আলী, দৌলতপুর।
০৯. মাওলানা জমির উদ্দিন, জাড্ডা।
১০. মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান সাহেব ধনুসড়া, চৌদ্দগ্রাম।
১১. মাওলানা মোহাম্মদ ইয়াহইয়া সাহেব। চৌদ্দগ্রাম।
১২. মাওলানা ফজলুল করিম নকশবন্দী সাহেব নোয়াখালী।
১২. মাওলানা ফজলুল বারী সাহেব, মীরশ্বরাই, চট্টগ্রাম।
১৩. মাওলানা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন সাহেব, ঢাকা।
১৪. মূফতী মাকছুদুর রহমান সাহেব, চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা।
১৫. মাওলানা আবদুল আউয়াল সাহেব র. চান্দিনা।
১৬. মাওলানা আলি আজম সাহেব, লাকসাম, কুমিল্লা।
১৭. মাওলানা মুহিববুল্লাহ সাহেব, সৈয়দপুর, কুমিল্লা।
১৮. মাওলানা মোহাম্মদ আলী সাহেব, মুদাফ্ফরগঞ্জ।
১৯. মাওলানা ছালেহ আহম্মদ,লাকসাম।
২০. মাওলানা ছালাহ উদ্দিন,হবিগঞ্জ।
২১. মাওলানা হোছাইন আহমদ ভূঁইয়া, চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা।
২২. মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন, হবিগঞ্জ।
২৩. মাওলানা ড. কাউছার মোহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, মুহাদ্দিস।
২৪. মাওলানা ড. আবু ছালেহ পাটোয়ারী, মুফাসসির।
আরও পড়ুন: সূফি সদরউদ্দিন আহমদ রহ. এর দরবার শরীফ
সোনাকান্দা দরবারের আকিদা:
সোনাকান্দা দারুল হুদা দরবার শরীফ সূচনালগ্ন থেকেই পরিপূর্ণ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারী। মাযহাবে হানাফীর ধারক বাহক। তরিকায়ে কাদেরীয়া, চিশতিয়া, নকশবন্দিয়া, মোজাদ্দেদীয়া, মুহাম্মদীয়ার প্রচার প্রসার, তালিম তাওয়াজ্জুহ, সবকাদি মশক করিয়ে থাকেন।
সোনাকান্দা দরবারের খেদমতসমূহ:
অত্যাচারী ব্রিটিশ বেনিয়া ও হিন্দু জমিধারী মারওয়ারী নিষ্পেষনে জর্জরিত নিপীড়িত বাংলার মানুষকে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সঠিক অবস্থানে তুলে আনার ক্ষেত্রে উনবিংশ শতকের অন্যতম সংস্কার আন্দোলন ফুরফুরা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম একনিষ্ঠ সিপাহসালার ছিলেন হাফেজ মাওলানা আবদুর রহমান হানাফি রহ.। ইসলামি শিক্ষা বিস্তারে তিনি কর্তৃক এবং তার সহায়তা ও নির্দেশনায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যেমন-
খামার গ্রাম দাখিল মাদরাসা,
সোনাকান্দা দারুল হুদা বহুমুখী কামিল মাদরাসা(১৯৪২ ইং),
দ্বীমূড়া রহমানীয়া ফাজিল মাদরাসা(হবিগঞ্জ),
মহিষারকান্দি রহমানীয়া দাখিল মাদরাসা, কুমিল্লা আলিয়া মাদরাসা,
পূবাইল রাহমানীয়া দাখিল মাদ্রাসা(কুমিল্লা),
গাজীমূড়া আলিয়া মাদরাসার কামিল মঞ্জুর করণ,
পরমতলা ফাজিল মাদরাসা(কুমিল্লা),
শ্রীকাইল কলেজ পুনঃ চালুকরণ৷
এছাড়াও বর্তমান পীর অধ্যক্ষ মাহমুদুর রহমান (মা.জি) সমগ্র বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জে, এলাকা-অঞ্চলে অসংখ্য অগণিত মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তব, খানকাহ, মাহফিল, দ্বীনিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন এবং দেশ ও জাতির খেদমতে সমাজ সংস্কারে অগণিত মিশন হাতে নিয়ে এগিয়ে চলেছেন।
শিরক, বিদয়াত ও কুসংস্কার রোধ এবং ভন্ড বেশরা পীরদের স্বরূপ উন্মোচনে সোনাকান্দা দারুল হুদা দরবার শরীফের অবদান অপরিসীম। দরবারের পক্ষ থেকে কখনো ওয়াজ নসীহতের মাধ্যমে, কখনো বাহাসের মাধ্যমে, কখনো কিতাব রচনা অথবা উলামা, খোলাফাদের মাধ্যমে প্রতিবাদ করে থাকেন।
সোনাকান্দা দরবার শরীফের মাহফিল :
আধ্যাত্মিক শিক্ষা প্রসারে পীর আবদুর রহমান হানাফি রহ. সোনাকান্দা দারুল হুদা দরবার শরীফে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রতি বছর ১৪,১৫ই ফাল্গুন ঈসালে সওয়াব মাহফিল, ২৯ আশ্বিন হতে ৭ দিনের খাসুল খাওয়াস মাহফিল, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ২৯ শে অগ্রহায়ণের মাহফিল সহ সারাদেশে অসংখ্য মাহফিল ও তালিমী সেন্টার।
সোনাকান্দা দরবার শরীফ কর্তৃক অজিফা:
বাদ ফজর ও মাগরিব মাসনুন দোয়া-জিকির:
সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার: ১বার।
(সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৮৬৭
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৮৭২;
আবু দাউদ, ৫০৭০;আহমদ, ২২৫০৪)
১ বার اية الكرسى (আয়াতুল কুরসী)
(সুনানে কুবরা নাসাঈ হাদীস নং-৯৯২৮/ ইবনুস্ সুন্নী হাদীস নং-১২৩)
আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান নার -০৭ বার।
সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত- ০১ বার।
৩ বার-
أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللِّٰه التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
(মুসলিম, তিরমিজি)
৩ বার-
بِسْمِ اللهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ العَلِيمُ
(তিরমিজি, ৩৩৮৮;ইবনু মাজাহ, ৩৮৬৯;আহমদ,৪৪৮,৫২৯)
৭ বার-
رَضِيْتُ بِاللهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا وَرَسُوْلاً.
(আবু দাউদ হাদীস নং-৫০৩৩/তিরমিযী হাদীস নং-৩৩৮৯/মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৭৭৮)
৩ বার -
سُبْحانَ اللهِ وبِحَمْدِهِ، سُبْحانَ اللهِ العَظِيمِ.
(সহিহ বুখারী, ৬৬৭২)
৩ বার -
لا إلَهَ إلّا أنْتَ سُبْحانَكَ إنِّي كُنْتُ مِنَ الظّالِمِينَ
(আল জামিউস সগির, ২৭৪৬)
১০ বার -
أعوذُ باللهِ من الشيطانِ الرَّجيمِ
১৯ বার -
بسْمِ اللهِ الرَّحمَنِ الرَّحِيمِ
৩৩ বার সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ ৩৪বার আল্লাহু আকবর (মুসলিম হাদীস নং-৫৯৫)
৩ বার-
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ-
(সহিহ মুসলিম শরিফ : ৭০৮৮)
ইস্তেগফার ৭ বার।( মুসলিম, ২৭০২; আবু দাউদ, ১৫১৫) সূরা ফাতিহা ৩ বার। সূরা ইখলাস ১০ বার। দরুদ শরীফ ১১ বার।
আর প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর মাসনূন দুআ ও জিকির:
★৩ বার ইস্তিগফার পড়ে ১ বার
اَللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ، وَمِنْكَ السَّلاَمُ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ
(মুসনাদে আহমাদ হাদীস নং-২২৩৬৫/ মুসলিম হাদীস নং-৫৯১) (মুসনাদে আহমাদ হাদীস নং-২২৪১৯/ মুসলিম হাদীস নং-১৩৬৩)
১বার-
اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ
(আবু দাউদ হাঃ ১৫২২; নাসায়ী কুবরা: ৯৮৫৭)
১ বার -
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ. لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ. اللَّهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ .
(ইবনুস সুন্নী হাদীস নং-১৩৭,১৩৬; বুখারী হাদীস নং-৮০৪/৮৪৪ ও ৫৮৯১)
১ বার اية الكرسى (আয়াতুল কুরসী)
(সুনানে কুবরা নাসাঈ হাদীস নং-৯৯২৮/ ইবনুস্ সুন্নী হাদীস নং-১২৩)
৩৩ বার সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ ৩৪বার আল্লাহু আকবর (মুসলিম হাদীস নং-৫৯৫)
★ দুই / চার রাকাত ইশরাকের নামাজ।
সুনানু তিরমিযি-৫৮৬, সুনানু তিরমিযি-৪৭৫)
★সলাতুত দুহা বা চাশতের নামাজ।
সহীহ মুসলিম-৭১৯)
★ বাদ মাগরিব দুই দুই রাকাত করে ছয় রাকাত আউয়াবিন নামাজ।
ইবনে মাজাহ, ১১৬৭
★ জিকির।
★ বাদ এশা দরুদ শরীফের আমল।
★ সন্ধায় সূরা ওয়াকিয়া, বাদ এশা সূরা মুলক তিলাওয়াত করা।
আরও পড়ুন: ছতুরা দরবার শরীফ এর পরিচিতি
সোনাকান্দা দরবারের প্রকাশিত গ্রন্থাবলি:
সোনাকান্দা দারুল হুদা দরবার শরীফ হতে যে সব বই প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলো হল: ১.আনিছুত্তালেবীন ১ম,২য়,৩য়,৪র্থ, ৫ম খন্ড। ২.চার তরিকার শাজরা। ৩.হিযবুল বাহার(উর্দু)। ৪.অজিফায়ে নাফেয়াহ(উর্দু)। ৫.ওয়াসীয়ত নামা। ৬.জাদুল হুজ্জাজ ৭.আকছামুল মুসলেমীন
৮.জিকরে ছালেহীন ৯.নারীর পর্দা ও হাকীকত। ১০.আব্দুর রহমান হানাফী (রহ:)-এর জিবনী। ১১.মিলাদ শরীফে কিয়ামের বাস্তবতা। ১২.ওহাবীদের পরিচিতি ও মতবাদ। ১৩.পরকালের সম্বল। ১৪.সিরাতুন নাজাত। ১৫.মাসিক হুদা পত্রিকা। ১৬. হাদিসগ্রন্থ ও মুহাদ্দিসদের ইতিহাস। ১৭.রাদ্দুল ইখতেলাফ। ১৮.নামায শিক্ষা ও জরুরী মাসায়েল। ১৯.নামাজ ত্যাগ কারীর শাস্তি ও কবরের আযাব। ২০.তারাবীহ নামাযের ফজিলত। ২১.শিরক ও বিদআত। ২২.বার চাঁদের খুতবার ফজিলত। ২৩.ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারে খানকাহ শরীফের অবদান। ২৪. আরবের সফরনামা। ২৫. রাহে জান্নাত। ২৬. কবর জগতে নবীজীর শান। ২৭. প্রিয় নবি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্মরণে মিলাদ মাহফিল।
তথ্যপন্জী:
০১. হাফেজ মাওলানা আবদুর রহমান হানাফি (র) ইসলামি শিক্ষা বিস্তার ও সমাজ সংস্করণে তার অবদান, ড.মো: আবু ছালেহ পাটোয়ারী, (ইফা প্রকাশনা, ১ম প্রকাশনা -২০১৩)
০২. চার তরিকার অজিফা ও শাজরাহ, হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ আবদুর রহমান হানাফী, চতুর্দশতম সংস্করণ ২০১৫ ইং; সোনাকান্দা দারুল হুদা দরবার শরীফ, কুমিল্লা।
০৩. তোহফায়ে সোনাকান্দা দারুল হুদা দরবার শরীফ, মাহফুজুর রহমান, প্রকাশক, সোনাকান্দা দারুল হুদা দরবার শরীফ, কুমিল্লা।