ছাত্র বেত্রাঘাতের ইসলামি হুকুম কি?

ছাত্র বেত্রাঘাতের ইসলামি বিধান

বিদ্যালয়ে মারপিট করা শিক্ষকরা  ফতোয়ার কিতাবগুলোর কিছু ইবারত দেখুন-

★ فى الدر المختار: وَإِنْ وَجَبَ ضَرْبُ ابْنِ عَشْرٍ عَلَيْهَا بِيَدٍ لَا بِخَشَبَةٍ لِحَدِيثِ مُرُوا أَوْلَادَكُمْ بِالصَّلَاةِ وَهُمْ أَبْنَاءُ سَبْعٍ

১০ বছরের বাচ্চা কে সতর্ক করার প্রয়োজন হলে হাত দিয়ে আঘাত করবে লাঠি দিয়ে নয়। কেননা হাদীস শরীফে নামাজের জন্য সাত বছরের বাচ্চা কে আদেশ করতে বলা হয়েছে। (আঘাততে নয়)

- ফতোয়ায়ে দুররুল মুখতার।

{getToc} $title={Table of Contents}

★ وفى رد المحتار: قَوْلُهُ بِيَدٍ أَيْ وَلَا يُجَاوِزُ الثَّلَاثَ، وَكَذَلِكَ الْمُعَلِّمُ لَيْسَ لَهُ أَنْ يُجَاوِزَهَا قَالَ – عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ – لِمِرْدَاسٍ الْمُعَلِّمِ إيَّاكَ أَنْ تَضْرِبَ فَوْقَ الثَّلَاثِ، فَإِنَّك إذَا ضَرَبْت فَوْقَ الثَّلَاثِ اقْتَصَّ اللَّهُ مِنْك اهـ إسْمَاعِيلُ عَنْ أَحْكَامِ الصِّغَارِ للأستروشني، وَظَاهِرُهُ أَنَّهُ لَا يُضْرَبُ بِالْعَصَا فِي غَيْرِ الصَّلَاةِ أَيْضًا،

অনুরুপভাবে শিক্ষকের জন্য তিন বেতের বেশি প্রহার করা উচিত নয়। রাসুলুল্লাহ সাঃ মিরদাস রাঃ কে লক্ষ্য করে বলেছিলেন, তিন বেতের বেশি প্রহার করা থেকে বিরত থাকো।  কেননা তিন বেতের বেশি প্রহার করলে আল্লাহ তোমাকে শাস্তি দিবেন-(হাদিসটি কিতাবুল আসরারে সনদ ছাড়া উল্লেখ রয়েছে) । আসতারুশীনি রঃ এর আহকামুস সিগার থেকে ইসমাইল বর্ণনা করেন, মোট কথা হচ্ছে নামাজ ছাড়া অন্য কারণে ছাত্রকে বেত্রাঘাত করা হবে না।

- ফতোয়ায়ে শামী।


★ أما المعلم فله ضربه، لأن المأمور يضربه نيابة عن الأب لمصلحته، والمعلم يضربه بحكم الملك بتمليك أبيه لمصلحة التعليم…. ألنقل فى كتاب الصلاة يضرب الصغير باليد لا بالخشبة، ولا يزيد على ثلاث ضربات (رد المحتار، كتاب الحظر والإباحة، باب الاستبراء وغيره، فصل فى البيع-9/616)

ছাত্রকে প্রহার করার অধিকার শিক্ষকের রয়েছে। হাদিসের বর্নিত নির্দেশানুযায়ী (নামাজ না-পড়লে প্রহার করার হাদীস) বাবার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে ছেলের তা'লিম তরবিয়ত এবং সার্বিক কল্যাণার্থে প্রহারের ব্যাপারে শিক্ষক আদিষ্ট ব্যাক্তি। ছাত্রকে হাত দিয়ে প্রহার করবে বেত দিয়ে নয় এবং সর্বোচ্চ তিন বেতের বেশি প্রহার করবে না।

- ফতোয়ায়ে শামী।

ছাত্র বেত্রাঘাতের ইসলামি হুকুম কি?

★ يجوز للمعلم أن يضربه بإذن أبيه نحو ثلاث ضربات ضربا وسطا سليما… لا بخشبة، فلأن الضرب بها ورد فى جناية صادرة عن المكلف ولا جناية عن الصغير (حاشية الطحطاوى على الدر المختار، كتاب الصلاة-1/170)

অভিভাবকের অনুমতি সাপেক্ষে মধ্যম পন্থায় সর্বোচ্চ তিনবার হাত দিয়ে প্রহার করা জায়েজ। কেননা মুকাল্লাফ থেকে জেনায়েত প্রকাশ পেলে বেত্রাঘাত করার নুসূস রয়েছে কিন্তু শিশুরা তো মুকাল্লাফ বিশ-শরীয়াহ নয়।

-হাশিয়ায়ে তাহতবী


আরও পড়ুন: লাল গরু এসে গেছে? আল আক্বসা ভেঙে থার্ড টেম্পল তৈরি করা হবে কি?


لو ضرب المعلم الصبى ضربا فاحشا قيد به، لأنه ليس له أن يضربها فى التاديب ضربا فاحشا وهو الذى يكسر العظم أو يخرق الجلد أو يسوده، قال فى البحر: وصرحوا بأنه إذا ضربها بغير حق وجب عليه التعزير، أى وإن لم يكن فاحشا ويضمنه لو مات، وكذا المعلم إذا أدب الصبى فمات منه يضمن عندنا (رد المحتار-6/131)

যদি কোন শিক্ষক শিশুকে সীমাতিক্রমী আঘাত করে তাহলে তাকে জেলে বন্ধি করা হবে। কেননা আদব শিখানোর জন্য  হাড় ভেঙ্গে দেওয়া,চামড়া ফাটিয়ে দেওয়া অথবা কালো বানিয়ে ফেলার অধিকার শিক্ষকের নেই। ফতোয়ায়ে বাহরুর রায়েকে রয়েছে;অন্যায়ভাবে কোন শিক্ষক ছাত্রকে আঘাত করলে, সীমাতিক্রমী আঘাত না-হলেও তার উপর তা'জীর করা আবশ্যক। এবং শিক্ষকের আঘাতে ছাত্রের মৃত্যু হলে শিক্ষক জামিনদার হবেন।


শিক্ষার্থিদের শাসনের ক্ষেত্রে ফতওয়ার কিতাবগুলোর রেফারেন্সে কয়েকটি নীতিমালা দাঁড় করাতে পারি। তন্মধ্যে-

১। তিনটির বেশি বেত্রাঘাত করা যাবে না।

২। শরীরে দাগ পড়ে যায় এত জোরে আঘাত করা যাবে না।

৩। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্রদের শাসনের ক্ষেত্রে কোনক্রমেই বেত ব্যবহার করা যাবে না।


Learn With Iqbal

I'm Muhammad Iqbal Hossain, a language teacher. Languages ignite my passion – their ability to connect us and unlock new worlds. youtube facebook instagram telegram whatsapp

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন